,

ইনাতাবাদে বিএনপির উঠান বৈঠকে জি কে গউছ

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- ২০১৮ সালে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। সরকারের অন্যায় নির্দেশে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারগণ তাদের ইমান বিক্রি করেছেন, আমানতের কিয়ানত করেছেন। বিনিময়ে নগদ টাকা আর মোবাইল সেট উপহার পেয়েছেন। পুলিশকে জনগণের ভোট ডাকাতি করতে প্রিজাইডিং অফিসাররা সহযোগীতা করেছেন। এই প্রমাণ আমাদের কাছে সংরতি আছে। সময় পরিবর্তন হলেই এর হিসাব দিতে হবে। তিনি শুক্রবার রাতে হবিগঞ্জ পৌরসভার ইনাতাবাদে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি, গ্যাস বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জি কে গউছ বলেন- বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যার জীবনে কোনো নির্বাচনে পরাজয় বরণ করতে হয়। এই জনপ্রিয়তার কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবার রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ২ কোটি টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করা হয়েছে। কোর্টকে কাজে লাগিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তার স্ত্রী ডাক্তার জোবায়দা রহমানও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। এই ফ্যাসিবাদি সরকার খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্যই একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ হাজার ষড়যন্ত্র করেও জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে সড়াতে পারবে না। কারণ এ দেশের জনগণ বিএনপির পক্ষে, বিএনপির সঙ্গে আছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের হাত ধরেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী বকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, হাজী এনামুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, এডভোকেট আফজাল হোসেন, নাজমুল হোসেন বাচ্চু, এস এম আওয়াল, মর্তুজা আহমেদ রিপন, দেওয়ান মোহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, লিটন আহমেদ, এডভোকেট কামরুল হাসান চৌধুরী, এডভোকেট সগীর আহমেদ সাজ্জাদ, মামুনুর রশিদ মামুন, শাহ আলম চৌধুরী মিন্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, আব্দুল মালেক, মহসিন সিকদার, দুলাল মিয়া, নজরুল ইসলাম কাওছার, কাউন্সিলর টিপু আহমেদ, এডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েল, এডভোকেট আঙ্গুর আলী, সৈয়দ রুহেব হোসেন, আব্দুল আহাদ আনসারী, আলী আকবর, নাসির উদ্দিন, জালাল মিয়া, সমির বৈদ্য, রতন সুত্রধর, শফিকুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, আব্দুল হামিদ, নুরুল আমিন, এখলাছ মিয়া, আলী হায়দর, ছুরত আলী, রহমত আলী, অলি মিয়া, বাবুল মিয়া, মেহের আলী, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, কামরুল মিয়া, জনাব আলী, আব্দুল আলী, মিরাজ মিয়া, জুয়েল মিয়া, সিরাজ মিয়া, আব্দুল ওয়াহেদ ইলিয়াছ আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম, আল আমিন তালুকদার, মোজাক্কির হোসেন ইমন, মোশাররফ হোসেন রনি, সুমন আজাদ, লিটন আহমেদ, ডাঃ তোফাজ্জুল প্রমুখ।


     এই বিভাগের আরো খবর